সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মাহমুদার রহমান(৪৪) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড সহ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার ২৬শে অক্টোবর দুপুরে আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারক নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মনসুর আলম এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাহমুদার নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আফান উদ্দিনের ছেলে।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরণে জানা যায়- ২০০৯ইং সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাহমুদার ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনার পরের দিন একই বছরের ১লা অক্টোবর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১০ইং সালের ১৪ই ফেব্রয়ারী আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার এই সাজা প্রদান করে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রমেন্দ্রনাথ বর্ধণ বাপ্পী জানান- আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।
মামলার শুরু থেকে আসামি পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়। কিন্তু আসামী আত্মসমর্পণ করে নি এখনো পলাতক রয়েছে। আজ আসামীর অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত তার গলায় ফাস লাগিয়ে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।
নিহতের বড় ভাই বলেন- দীর্ঘ ১৩ বছর পর আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। তবে এই মামলার বাদী ছিলেন আমার বাবা। তার মৃত্যু হওয়ায় এই রায় দেখতে পেলেন না।
সরকার কতৃক নিয়োজিত আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল লতিফ সরকার বলেন- এই মামলায় আসামি পক্ষের লোকজন আদালতে (আসামি পলাতক) উপস্থিত না থাকায় কোনও ধরনের আইনি সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।